দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পুনর্গঠনে জামায়াতকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দীর্ঘ ১৩ বছর পর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সশরীরে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর শহীদদের আমরা স্মরণ করছি। যারা এ আন্দোলনে আহত হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সুস্থতার নিয়ামত দান করুন। 

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার গত দেড় যুগ ধরে বিরোধীমতের লাখ লাখ মানুষের ওপর হত্যা, গুম, জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। এ জুলুমের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। স্বৈরশাসনামলে দেশের মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক নাগরিক অধিকার, বিরোধীমতের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌক্তিক সময়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পুনরগঠনে জামায়াতকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন ও আবদুর রব।

জেইউ/পিএইচ