দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আবেদন নিয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অত্যন্ত অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, সরকারকে এই দায়ভার নেওয়া উচিত হয়নি। চিকিৎসার সুযোগ না পাওয়ার কারণে যদি কোনো অঘটন ঘটে, তাহলে তার সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। 

রোববার (৯ মে) ফেসবুক লাইভে এসে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এমন মন্তব্য করেন। 
 
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী (৪০১ ধারা) দ্বিতীয়বার সাজা মওকুফ করে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই তাদের আবেদন মঞ্জুর করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিদেশ যাওয়ার আবেদন প্রত্যাখান করেছেন। বলেছেন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বা আইনে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে নিম্ন আদালতে। তার সাজা আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে। যেকোনো আপিলে তার সাজা মওকুফ হয়ে যেতে পারে। তদুপরি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার কোথাও লেখা নেই যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবে না বা প্রয়োজনের খাতিরে যেতে পারবে না।

তিনি বলেন, এটাতে (৪০১ ধারা) নির্বাহী আদেশের এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে, সরকার ইচ্ছা করলে যেকেনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা মওকুফ করতে পারে, সাজা কমাতে পারে, সাজা থেকে শর্ত দিয়ে বা শর্ত না দিয়ে মুক্তি দিতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার যদি শর্ত দিত যে, তিনি বিদেশে যাবেন এবং চিকিৎসা শেষে দেশে চলে আসতে হবে। এছাড়া আইনে এমন কোনো বিধান নেই যে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন না।

আইনকে কঠোর নয়, মানবিকভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী। 

এমএইচডি/জেডএস