গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মাঠে নেমে আসা তরুণ প্রজন্মের বড় ক্ষোভের কারণ ছিল বেকারত্ব আর শিক্ষার্থীদের ওপর তাদের দমন-পীড়ন। যে কারণে সামান্য কোটা আন্দোলন অবশেষে গিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে গড়িয়েছিল।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী তারুণ্যের দেশ ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, তরুণদের মাঝে এই মুহূর্তে বড় ক্ষোভ হলো বেকারত্ব। আন্দোলনের এই পরিস্থিতিতে আসার কারণ হলো গত কয়েকবছর ধরে ছাত্রদের ওপর দমন-পীড়ন। এমনকি এসব অত্যাচার-নিপীড়ন সাধারণ মানুষকে পর্যন্ত স্পর্শ করেছে, ফলে সাধারণ মানুষও এই আন্দোলনে অংশ নেয়। আপনারা যদি দেখেন রংপুরে একজন ছাত্র বুক পেতে দিয়েছে আর পুলিশ নির্মমভাবে তাকে গুলি করেছে, এসব বিষয়ও মানুষের মনকে স্পর্শ করেছে।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে এখনও পুলিশ মাঠে নামছে না, থানাগুলো সচল হচ্ছে না। এসব ভালো কোনো লক্ষণ নয়। আমরা বলছি দ্রুত সময়ে প্রশাসনকে মাঠে নামাতে হবে। তাদের কার্যকর করতে হবে। প্রশাসন কোনো অপারেশন চালাতে ছাত্রদের সহযোগিতা নিচ্ছে কারণ তাদের পর্যাপ্ত ফোর্স নেই।

ভিপি নুর আরও বলেন, অনেকেই বিভিন্ন দাবি নিয়ে মাঠে নামছে তাদের প্রতি আহ্বান এই মুহূর্তে সরকারকে সময় দিন, এখন রাস্তায় নামার সময় না।

এসময় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন কমিশন-দুদকের সংস্কার করতে হবে, প্রশাসনকে আওয়ামী মুক্ত করতে হবে। এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছে প্রায় এক মাস হয়ে যাচ্ছে এখনও প্রশাসনকে আওয়ামী মুক্ত করতে পারেনি। প্রশাসনের সব জায়গায় আওয়ামী লীগের লোক থাকলে, দেশ চলবে কীভাবে?

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট এহসান মাহমুদ, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, সহ সভাপতি প্লাবন আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ যুব অধিকার পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল ,এলডিপি যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ, জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি এস এম শামসুল আলম নিক্সন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, যুব সংহতির আহবায়ক মো. হারুন অর রশিদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মানসুর আহমেদ সাকি, ইসলামী যুব মজলিসের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব ফারাবি প্রমুখ।

টিআই/এসকেডি