আজ ১ সেপ্টেম্বর, বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে দলটি এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ৫ দিন থেকে কমিয়ে ১ দিনে নিয়ে এসেছে। এই ৪ দিনের কর্মসূচিতে যে অর্থ খরচ হতো সেটি ত্রাণ তহবিলে খরচে করার সিদ্ধান্তের কথা বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাবেন দলটির নেতারা।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানের কবরে জিয়ারত করতে যাবেন বিএনপি নেতারা।

একইদিন বাদ জোহর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির জাতীয় নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার-ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার’ লক্ষ্যে বিএনপি গঠন করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন এবং ছেলে তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তারেক রহমান বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশি মানুষের জন্য আনন্দ, উদ্দীপনা ও প্রেরণার। ১৯৭৮ সালের এই দিনে এক শুভক্ষণে স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাকশালী ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল শুধুমাত্র একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার জন্য। সেই মৃত গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের আবারও পথচলা শুরু হয়।

বিএনপি বিগত ৪৬ বছরে কয়েকবার সবার অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে কাজ করে গেছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ গণমানুষের দল। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিএনপির সকল নেতাকর্মী নিরলস, একনিষ্ঠ ও আপসহীন লক্ষ্যে স্থির। বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে আমি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দলকে আরও সুসংহত ও গতিশীল করার জন্য মনেপ্রাণে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানাই।

এএইচআর/এসকেডি