বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ছাত্ররা জীবন দিয়ে এই দেশকে রক্ষা করেছে। প্রমাণ করেছে- তারা কারো কাছে বিক্রি হয়নি। তারা দেশ পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ পরিশ্রম করে উৎপাদন বাড়াচ্ছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারবো। 

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের দুই অংশের বিভক্ত দূর করে এক হওয়া নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। 

ড. কামাল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতি করার জন্য প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। সে প্রতিজ্ঞা আমরা ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা কারো কাছে বিক্রি হইনি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আমাদের প্রতিষ্ঠান ধরে রাখতে পারবো কি না। কিন্তু আমরা তো টাকা দিয়ে নির্বাচন করিনি, আমরা ভোট কিনে নির্বাচিত হইনি। টাকা দিয়ে ভোট কিনে ক্ষমতায় আসার পর একটা সময় ঠিকই পালিয়ে যেতে হয়। দেশে কেন থাকতে পারে না? কারণ জনগণ জানে তাদের হাতে বিচার করার ক্ষমতা আছে। 

ড. কামাল বলেন, আমরা চাই জনগণ সত্যিকার অর্থে ক্ষমতার মালিক হোক। সুষ্ঠু রাজনীতি করতে হলে জনগণকে বোঝাতে হবে, তোমরা দেশের পাহারাদার, তোমরা ভোটে অংশগ্রহণ করো। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, তাদের বিতাড়িত করতে হবে।

দেশ থেকে অবিশ্বাস্য পরিমাণ টাকা পাচার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে যারা টাকা পাচার করেছে তারা ভালো আছে কিন্তু দেশের মানুষের উন্নতি হয়নি। আমরা সেই বঞ্চিত মানুষের পাশে আছি। জনগণের রাজনীতি হলো জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করা। 

গণফোরামের শীর্ষ নেতা জ্যেষ্ঠ এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ৩১ বছরের ধারাবাহিকতায় গণফোরাম এর সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সংগঠক ও সমর্থকদের পক্ষ থেকে এই শুভদিনে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি। দ্রুততম সময়ে গণফোরাম এর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, ডা. মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ। 

ওএফএ/এমএসএ