দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার জন্য ভারতকে দায়ী করে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নেতারা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই রাজনৈতিক ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে এই ষড়যন্ত্র হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভারতীয় সর্বগ্রাসী পানি আগ্রাসন’র বিরুদ্ধে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।

মুসলিম লীগের নেতারা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পালিয়ে যাওয়ার কারণে ভারত দিশেহারা হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভৌগলিক অবস্থান এবং প্রকৃতিকে ব্যবহার করতেও দ্বিধাবোধ করছে না।

মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার বলেন, দেশের সাধারণ মানুষকে অমানবিকভাবে পানিতে ভাসিয়ে হলেও তারা শেখ হাসিনাকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। দেশের ঐক্যবদ্ধ জনগণ যেকোনো মূল্যে ভারত ও তাদের দেশীয় এজেন্টদের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।

দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, দেশের সৌভাগ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আন্তর্জাতিক সম্মানিত ব্যক্তিত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। না হয় ভারত হয়তো প্রকাশ্যে আমাদের ওপর আগ্রাসন চালানোরও দুঃসাহস দেখাতো।

গুম-খুনের তদন্তে কমিশন গঠনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে সরকার এ রকম আরও অসংখ্য কমিশন গঠন করবে বলে আমরা আশাবাদী।

অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো ও সংবিধান সংস্কারের পূর্বে নির্বাচন দেওয়া যাবে না। সব জায়গায় একটি সংস্কার আনতে হবে। কারণ, জনগণ সংবিধানে আর কোনো ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসকের উত্থানের পথ খোলা রাখতে চায় না।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, এফডিপি সভাপতি ড. এ.আর খান, জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, দলীয় সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সৈয়দ আবদুল হান্নান নূরসহ অনেকে।

আরএইচটি/কেএ