কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী নাইমা সুলতানার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে যারা গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের পাশে থাকতে গঠিত সেল ‘আমরা বিএনপি পরিবার।’ 

আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নাইমা সুলতানার বাসায় শোকাহত পরিবারের সাথে দেখা করে একটি প্রতিনিধি দল। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শহীদ নাইমা সুলতানার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য মুসতাকিম বিল্লাহ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার, ছাত্রদলের এ জি এস জান্নাতুল নওরীন উর্মি, ইডেন মহিলা কলেজের যুগ্ম-আহবায়ক জান্নাতুল ফেরদৌস, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যানস্থাপনা সম্পাদক আজিম উদদীন মেরাজ, উওরা আধুনিক হাসপাতালের ডাক্তার তৌহিদ ও ডাক্তার নীল প্রমুখ।

নাইমা সুলতানা উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ফার্স্ট গার্ল ছিল।  

নাইমা সুলতানার বাবা গোলাম মোস্তফা চাঁদপুর জেলার মতলব উওরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। তাদের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে শুধু পড়াশোনার উদ্দেশ্য মায়ের সাথে ঢাকায় থাকতেন। শহীদ নাইমা সুলতানা তিন ভাইবোনের মধ্যে মেজ।

আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরার ৯ নং সেক্টরের ৫ নং রোডের একটি বাসায় চতুর্থ তলার বেলকুনিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নাইমা সুলতানা।

এ ছাড়া রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে আইটিজেড স্কুল এন্ড কলেজ-এর শিক্ষার্থী রাকিব হাসানের পরিবারের সাথেও দেখা করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রেহানা আক্তার শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারজানা আক্তার মিতু প্রমুখ। 

এ ছাড়া দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম ইমনের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন রিহ্যাবিলিটেশনের একটি টিম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ড্যাবের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাওন বিন রহমান ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী হাসান শুভ প্রমুখ।

এএইচআর/এনএফ