স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারি আদেশে অপসারণের সিদ্ধান্তকে জনগণ সমর্থন করছে কি না— তা জানতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘জনমত জরিপ’ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এতে মন্তব্য করা প্রায় ৯০ শতাংশ ফেসবুক সমর্থক লিখেছেন, তারা অপসারণকে সমর্থন করেন। কারণ জনপ্রতিনিধিরা ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না। তারা জালিয়াতির নির্বাচনে পদে বসে ছিলেন। গত ১৫ বছর দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দলীয় ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘জনমত জরিপ’ শিরোনামে জানাতে চায় ‘দেশের সব উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ কি আপনি সমর্থন করেন?’

আজ (মঙ্গলবার) সকালে দেখা যায়, ৩৩ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ হাজার ব্যবহারকারী ‘হা হা’ দিয়েছেন। লাইক করেছেন ১২ হাজার ব্যবহারকারী। দুঃখ প্রকাশের ইমোজি দিয়েছেন ৩ হাজার ৩০০ ব্যবহারকারী। ভালোবাসার ইমোজি দিয়েছেন ৩২৬ ব্যবহারকারী। রাগ দেখিয়েছেন ১২৩ ব্যবহারকারী।

২৬ হাজার ৭০০ ফেসবুক ব্যবহারকারী আওয়ামী লীগের জনমত জরিপ সংক্রান্ত পোস্টে মন্তব্য করেন। প্রথম ১০০ কমেন্টে দেখা গেছে, ৯ জন জনপ্রতিনিধিদের অপসারণকে সমর্থন করেননি।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গতকাল স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিবর্তন করে। এর পরপরই ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ দেশের ১২ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে সরকার।

একই ধারায় ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্য, ৪৯৩ উপজেলার চেয়ারম্যান এবং ৩৩৪ পৌর মেয়রকে অপসারণ করা হয়। অপসারিত অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিংবা সমর্থনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর, জনপ্রতিনিধিদের অনেকে পালিয়েছেন।

এ জরিপের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এমএসআই/এমএ