দেশবাসীকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগর অত্যন্ত স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রশাসনকে শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ জানিয়ে মজনু বলেন, প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে সবার আগে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের এই নৈরাজ্যের কাছে আমরা হার মানতে পারি না।

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নির্বিশেষে বন্ধু ও পাড়া প্রতিবেশীদের রক্ষায় বিএনপির নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এই নেতা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের একটাই পরিচয়, আমরা বাংলাদেশি।

পুলিশ জনগণের শত্রু নয় মন্তব্য করে মজনু বলেন, একটি সভ্য এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুলিশ অপরিহার্য। কিন্তু স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যেকে বিশ্বাস করে পুলিশের ভেতরে একটি চক্র ছাড়া অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্য চাকরিবিধি মেনে, দেশের আইন কানুন মেনে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন। হাসিনা পালানোর পর বর্তমানে সুকৌশলে একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পুলিশকে অকার্যকর করে দেওয়া গেলে দেশকে অস্থিতিশীল করা সহজ। ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মনে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা সহজ। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক প্রমুখ। 

এএইচআর/জেডএস