মা-ছেলে বিদেশে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে ব্যর্থ করতে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও তার ছেলে বিদেশে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। সেই সঙ্গে দেশে বসেও একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলাম বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও উপাসনালয়গুলোতে হামলার অপচেষ্টা করে, বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। তাদের রুখে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পতন হলেও তার দোসররা নানা রকম চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে সর্বসাধারণের গ্রহণযোগ্য ও বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে দায়ী করার ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান দায়িত্ব দিয়েছে আপনাদের পাশার জন্য। আর আপনাদের সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য। দীর্ঘ ১৫ বছর এ দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যে সফলতা আমরা পেয়েছি, তার মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। দেশ রক্ষায় নিজেদের ত্যাগকে একটি আধুনিক ও উন্নত গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে উৎসর্গ করতে হবে।
ইশরাক হোসেন বলেন, বিএনপির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক। জনগণের প্রত্যাশাকে সম্মান জানিয়ে নিজেদের লোভ-হিংসা পরিত্যাগ করতে হবে। বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় দল। দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিএনপি নেতাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান করছি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেন, একটা গোষ্ঠী আজকে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, তাদের রুখে দিতে হবে।
এলাকাবাসীর সার্বিক নিরাপত্তায় বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে থাকার নির্দেশনা দেন তিনি। একই সঙ্গে যেকোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ ঠেকাতে এলাকাবাসীকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর হাসান রবিন বক্তব্য রাখেন। একে স্থানীয় বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উপস্থিত ছিলেন।
এএইচআর/কেএ