‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি অলির
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, সর্বসাধারণের উদ্দেশে বলতে চাই, স্বৈরাচারের পতনের পর জাতি-ধর্ম-বর্ণ-রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। স্বৈরাচারী ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অলি বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসসহ নতুন সরকারের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা। তার ওপর অর্পিত নির্বাহী দায়িত্ব পালনে সফলতার আশা ব্যক্ত করি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান সাবেক এই বিএনপি নেতা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশে সাজাপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত বাংলাদেশিদের মুক্তি ও পুনর্নিয়োগ-পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।
২০০৯ সাল থেকে যারা উপযুক্ত প্রমাণাদি ছাড়াই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে থাকা সব মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানান অলি আহমদ। তিনি বলেন, যারা গ্রেপ্তার ও বন্দি হয়েছেন অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অলি আহমদ বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীসহ সরকার কর্তৃক অপহৃত, নিহত ও গুম করা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে, এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অভিযুক্ত ও পলাতক ব্যক্তিদের উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করতে হবে, তাদের অবৈধ সম্পদ জব্দ করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থল, জল বা বিমান বন্দর দিয়ে যেন কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি পলায়ন করতে না পারে। একই সঙ্গে অপরাধীরাও যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া মাত্র শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করারও দাবি জানান অলি। একইসঙ্গে আগামী ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সূচি নির্ধারণ এবং কমপক্ষে পরবর্তী চারটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে করার দাবি জানান তিনি।
এএইচআর/কেএ