ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গোপনে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আর এর মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে বাধামুক্ত হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। একই প্রেক্ষাপটে আজ কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই রাজধানীতে সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে নয়াপল্টন। আনন্দের সে উল্লাস দেখা যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের চোখমুখে।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলে দলে এখনো বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে উপস্থিত হচ্ছেন। সবার মধ্যেই এক ধরনের আনন্দ-উল্লাস কাজ করছে। 

তাঁতীবাজার থেকে আসা এক বিএনপি কর্মী রাজু বলেন, আগে সমাবেশ করলেই পুলিশের হামলা, ধরপাকড়, গ্রেপ্তারের ভয় ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। বহুদিন পর আজ নিশ্চিত মনে সমাবেশ করতে পারছি।

কেবল রাজু নয়, এমন কথা বলছেন বিএনপির প্রায় প্রত্যেক নেতাকর্মীর। 

এর আগে, সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক, বাস এমনকি হেঁটেও আসতে দেখা যায় বিএনপি কর্মীদের। সবার মুখেই ছিল দেশ স্বাধীনের স্লোগান। আসার পথে কোথাও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি বলে জানান তারা।

জুরাইন থেকে আসা বিএনপি কর্মী সাজ্জাদ বলেন, স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে দিনের পর দিনে জেলে আটকে রাখা হয়েছিল, আজ তারা মুক্তি পাচ্ছেন। আমাদের জন্য আজ আনন্দের দিন, এক আতঙ্কবিহীন সমাবেশের দিন।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য মুস্তাকীম বলেন, বছরের পর বছর আমাদের নির্যাতিত হতে হয়েছে ,অন্যায়ভাবে মার খেতে হয়েছে। আজ সত্যিই আমরা স্বাধীন হয়েছি। সমাবেশে আসার জন্য সকাল থেকেই উৎসাহী ছিলাম। আমরা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী একসাথে সমাবেশে এসেছি।

এদিকে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়েনি।

ওএফএ/কেএ