দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠীর কবল থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছুর নিরাপত্তা সুরক্ষায় সারা দেশে কাজ করছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। দেশ পরিপূর্ণ স্থিতিশীল হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখতে সব জনশক্তির প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, তারুণ্যের বীরত্বগাঁথায় ও শতশত শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও দেশের অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনী ও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা আমাদের বিজয়কে ম্লান করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।

‘এ অবস্থায় আমাদের আরও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, ঘরবাড়ি ও সহায়-সম্পত্তি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদকে বিনষ্ট করার মাধ্যমে কেউ দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সেদিকে ছাত্রশিবিরের জনশক্তিসহ দেশবাসীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

নেতৃবৃন্দ ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, গ্রুপে গ্রুপে ভাগ হয়ে দেশের প্রতিটি উপাসনালয়, ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, থানা ও বিভিন্ন স্থাবর-অস্থাবরের সামনে শক্ত অবস্থান নিয়ে থাকতে হবে। অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই দেশ আমাদের সবার; সবাই মিলেই মানুষের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের পাহারা দিতে হবে।

‘যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

বীর জনতাকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা না আসা পর্যন্ত এ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, তারুণ্যের যুগান্তকারী গৌরবময় বিজয়ের সংগ্রামে ছাত্রশিবির সবসময় এক কাতারে থেকে লড়াই অব্যাহত রাখবে।

জেইউ/এমএ