ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগকে অবিস্মরণীয় বিজয়। জালিম দুর্নীতিগ্রস্ত এক নৃশংস স্বৈরশাসকের কবল থেকে জনগণ মুক্তি পেয়েছে। এখন সময় নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের। সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারভিত্তিক সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণের সংগ্রামে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ উপলক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় শোকরিয়া সমাবেশ করবে বলে জানান তিনি।

সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, জাতির এই গৌরবময় বিজয়ে যারা জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, আহত হয়েছেন এবং আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জালিমের বিরুদ্ধে এক হওয়ার সুফল আবারও প্রমাণ করেছে দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা। ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবী ও সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন তা বিশ্ব ইতিহাসে এক সোনালী ঐতিহ্য হয়ে থাকবে।

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, এই রাষ্ট্র আমাদের। দেশের প্রতিটি সম্পদ আমার আপনার টাকায় গড়া। দেশের ১৮ কোটি মানুষ মিলেই আমরা একটি জাতি। রাসূলুল্লাহ(সা:) মক্কা বিজয়ের পরে যেভাবে সবাইকে নিয়ে উম্মাহ গড়ে তুলেছিলেন আমরাও সেভাবে উম্মাহ গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ। সেজন্য দেশের কোনো সম্পদ যেন নষ্ট না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। সংখ্যালঘু ভাই বোনদের নিরাপত্তা যেন ক্ষুণ্ন না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকুন।

সেনাপ্রধানের সাথে বৈঠকে অংশ গ্রহণ

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ও যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম এতে অংশ নেন। 

সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানসহ রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শোকরিয়া সমাবেশ মঙ্গলবার

আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে শেখ হাসিনার ভয়াবহ পতনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে শোকরিয়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

জেইউ/এমএ