জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের ঘটনা নিন্দনীয়, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ছাত্র আন্দোলনে বর্বরোচিত গণহত্যার দায়ে আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের চলমান ইস্যু ধামাচাপা দিতে নতুন বিতর্ক, নতুন ইস্যু সামনে আনা হচ্ছে, যা বুমেরাং হতে বাধ্য।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জামায়াত নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দলের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে ইস্যু বানানোর পুরাতন কার্ড নতুন করে খেলে আওয়ামী লীগ জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে পারবে না। শত শত ছাত্র, কিশোর, যুবক, শিশুসহ জনতার রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গণহত্যা, নৃশংসতা, ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের জন্য সরকার দেশবিদেশে তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা, চাপের মুখোমুখি। জাতিসংঘ, বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যম সরকারকে জবাবদিহি করতে বলছে। দলমত নির্বিশেষে ছাত্র, অভিভাবক, শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিক, আইনজীবী, যুবক, নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ প্রতিবাদ, ধিক্কার জানিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন ও চাপে রাখতে বিশ্বাসযোগ্য কোনো তদন্ত ছাড়াই নিজেদের দায়-দায়িত্ব বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেরা পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি আরো জটিল ও সংঘাতময় করে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানোর আশঙ্কা করছে দেশবাসী। অতীতেও তারা নিজেরা সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। চলমান আন্দোলনেও তা করছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী কালেও ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ তৎকালীন বিরোধী দলসমূহের আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে বাকশাল গঠন করেছিল। স্বাধীনতার পর জাসদকে নির্মূল, ধ্বংস করতে হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমভাবে দমন-নিপীড়ন চালিয়েছিল। 

মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াত আজ আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই বলে তারা আওয়ামী ভাষায় জঙ্গি হয়ে গেছে। কোনো রাজনৈতিক দল জঙ্গি? তা দেশবাসী ভালো করেই জানেন।

এএইচআর/এমজে