ফাইল ফটো

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ-বিদেশের কোনো পরামর্শ কর্ণপাত করছে না। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে মামলা, হামলা ও দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে পুলিশ ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, দিনাজপুর, গাজীপুর, যশোর, ঠাকুরগাঁও, মাগুরা, নরসিংদীসহ বিভিন্ন জায়গায় বর্বরোচিত কায়দায় সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে প্রায় শতাধিক নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। পুলিশের নির্মম আঘাত থেকে রক্ষা পাননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়াও। বরিশালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন যুগান্তরের সাংবাদিক শামীম আহমেদ এবং যমুনা টিভির ক্যামেরাম্যান হৃদয়সহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ও সরকারি বাহিনী এমনভাবে মিথ্যাচারে নিমজ্জিত হয়ে গেছে যে, সারা বিশ্বের মানুষ যেখানে দেখেছে আবু সাঈদকে পুলিশ সরাসরি সামনে থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। সেই মামলায় আসামি করে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আলিফ শাহারিয়ার মাহিমকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় আওয়ামী ভাবাপন্ন সদস্যরা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারে আশ্রয় নিয়ে বলছে- তথা কথিত ‘তৃতীয় শক্তি’ নাকি গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

দেশের আপামর জনতা ছাত্র-যুবকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান তিনি।

জানান মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের আনাচে-কানাচে ঘরে ঘরে আজ খুনি সরকারের পদত্যাগের দাবি উচ্চারিত হচ্ছে। ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না এই শাসকগোষ্ঠী।

তিনি বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার এতই ভীতসন্ত্রস্ত এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে যে, তারা নিজেরাই বলছেন, শ্রীলঙ্কার মতো গণভবন দখল করে নেবে জনগণ এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। সেই ভয়ে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অপব্যবহার করে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এএইচআর/এমএ