প্রতিটি ক্ষেত্রে ধ্বংস সব জনগণের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, দেশদ্রোহীদের কর্মকাণ্ডের কুফল ভোগ করবে জনগণ। জনগণ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম দুর্দশাগ্রস্ত হবে, অসুবিধায় পড়বে। এটাই সন্ত্রাসীরা তৈরি করেছে। তারা স্বাধীনতার শত্রু, এ দেশের শত্রু।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া মহাখালীর দুর্যোগ ভবন পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন আমির হোসেন আমু। এর আগে তার নেতৃত্বে ১৪ দলের একটি প্রতিনিধি দল সেতু ভবনও পরিদর্শন করে।

১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বলেন, ৫৩টি গাড়ি, ল্যাপটপ ও ডিজিটাল সেন্টারসহ সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আজ সারা দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ বাধাগ্রস্ত হলো, অসহায় মানুষ বঞ্চিত হলো। বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যে মানুষ যাবে, সাহায্য সহযোগিতা করবে, সেই অবস্থান আজ রাখে নাই।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অন্যরা আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিত। কিন্তু এখন সামনে যে ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা যদি আসে, একটা বন্য যদি আসে, তাহলে সেটা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব জানি না। আমরা যে সক্ষমতা অর্জন করেছিলাম, পৃথিবীর কাছে প্রশংসনীয় হয়েছিলাম সেগুলো ধ্বংস করে দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমাদের তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা দুর্যোগ ভবনটাকে আমরা ঢেলে সাজিয়েছিলাম। যেকোনো দুর্যোগ এলে সেটা মোকাবিলার জন্য এই ভবনটি প্রতীক হিসেবে কাজ করত। যখনই বন্যা, যখনই খরা, যখনই দুর্যোগ আসে তখনই দুর্যোগ অধিদপ্তরে কাজ করতে হয়। কিন্তু আজ এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার মূল উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষ যেন সেবা না পায়। এরা দুষ্কৃতকারী জামায়াত-শিবির, কোটা আন্দোলনকারীদের কাঁধে ভর করে যারা এসব করেছে তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এমএইচএন/এসএসএইচ