খালেদার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার, আশা মির্জা ফখরুলের
সরকার মানবিক কারণে করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা আশা করি সরকার মানবিক কারণে তার (খালেদা জিয়া) বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
খালেদা জিয়া কারান্তরীণ ছিলেন, এখনও আছেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই অবস্থায় তার কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেজন্য আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছা যে তার চিকিৎসাটা পূর্ণাঙ্গ কোনো হাসপাতালে হোক। উন্নত বলতে, বাংলাদেশের উন্নত হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আরও উন্নত বিদেশে কোনো হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব কি না? এই বিষয়ে গতকাল তার পরিবার থেকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যে অনুমতি দরকার, তা চাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি সরকার মানবিক কারণে তার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। দেশের ১৮ কোটি মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেতা সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
বাংলাদেশের মানুষের একটা অধিকার তাদের নেতাকে তারা সুস্থ দেখতে চান উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিভিন্ন কারণে ভিন্নভাবে আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ গণতন্ত্রের কর্মীকে মামলা দিয়ে আসামি করা হয়েছে। আমাদের পাঁচশর বেশি নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে। একাধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছে। এই নির্যাতন চলছে এক যুগ ধরে। এর মধ্যে আমাদের বর্তমান নেতা-নেত্রীদের নিয়ে সংগ্রাম করছি। টিকে আছি। নিশ্চয় আমরা জয়ী হব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা-আমরা সবাই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমাদের দলের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের একমাত্র আশা-ভরসার স্থল, যিনি দীর্ঘকাল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন আবার সেই গণতন্ত্রের চরম সংকটময় মুহূর্তে তাকে সুস্থ হিসেবে দেখতে চায় মানুষ। সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গত ২৭ এপ্রিল থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। সেখানে তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের চিকিৎসরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার চিকিৎসা করছেন।
তিনি আরও বলেন, পোস্ট কোভিড জটিলতা থাকে, সেটা মাঝে-মাঝে টার্ন নেয় বিভিন্ন দিকে। ম্যাডামের যে বয়স এবং তার বিভিন্ন রোগ আছে। এর আগে তিনি প্রায় ৩ বছর কারাগারে ছিলেন। সেখানে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান হোসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।
বুধবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডির নিজ বাসায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার পরিবার যে লিখিত আবেদন জানিয়েছে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ডাক্তাররা অভিমত দিয়েছেন তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। যদিও আমরা ডাক্তারদের কাছে শুনিনি।
এএইচআর/জেডএস