ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনতার দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে। সরকার যদি মনে করে এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে তারা আন্দোলন বন্ধ করতে পারবে, তবে তারা ভুল পথে হাঁটছে।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করলেও বাস্তবে এ আন্দোলন সরকারের দুর্নীতি-লুটপাট ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জনতার দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে। যা এক পর্যায়ে সরকার পতন আন্দোলনে রূপ নেয়।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে দলের মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার প্রধানের কাছে জনগণের জীবন তুচ্ছ এবং ক্ষমতায় টিকে থাকাই তাদের মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বলেন, সরকার দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। জনগণের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এখন গণ গ্রেপ্তার চালিয়ে জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনতার রুদ্ররোষ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তা বন্ধ করা যাবে না।

তিনি বলেন, মিডিয়ায় আসছে, ২০৬ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন। ইতিহাসে এত অল্প সময়ে আর কখনো এমন ঘটনা বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেনি। সরকার যদি মনে করে এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে তারা আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারবে, তবে তারা ভুল পথে হাঁটছে। 

অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলগুলো খুলে দিতে হবে। নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুমসহ অনেকে।

জেইউ/এমএসএ