কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের শুনানি একমাস পর করলে আন্দোলন আরও বেগবান হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি নেতারা। তাই কোনোভাবে কালক্ষেপণ না করে আগামী রোববার (২১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে আপিলের শুনানি করার দাবি জানিয়েছেন নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন রওশনপন্থি জাপা নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ।

লিখিত সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজ রশীদ বলেন, আমরা এক ক্রান্তিলগ্নে আপনাদের সামনে কিছু কথা বলার জন্য হাজির হয়েছি। গোটা দেশে এখন কী পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা আপনারা সবাই জানেন। এ বিষয়ে কিছু কথা বলার আগে আমি প্রথমেই কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং পরিবার পরিজনদের সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। ছাত্রদের এই আন্দোলন সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- ছাত্রদের দাবি যৌক্তিক এবং আমরা তা সমর্থন করি। কারণ ছাত্ররা কোটার সম্পূর্ণ বাতিল চায়নি। তারা সংস্কার চেয়েছে। দেশে সরকারি চাকরির ৫৬% কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে; এটা আমরাও মানতে পারি না। কারণ তাহলে মেধার মূল্যায়ন হয় না। ছাত্ররা চেয়েছে কোটা থাকবে। তবে তা বিশেষ ক্ষেত্রে এবং তার হার ৫% শতাংশের বেশী নয়। এসব বিষয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই মীমাংসা করা উচিৎ ছিল।

তিনি বলেন, কোটা যেখানে সরকারই বাতিল করেছিলেন-সেটা হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হলো। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, কোটা থাকবে। তবে কোটার হার কমানো বা বাড়ানোর এখতিয়ার সরকারের হাতে থাকবে। ফলে রায় অনুসারেই। সরকারের পক্ষে ছাত্রদের দাবি মেনে নেয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু সরকারের পূর্বেকার সিদ্ধান্ত এবং ছাত্রদের বর্তমান দাবির মধ্যে বিপরীতমুখিতা নেয়। সরকার এর আগে বাতিল করেছিলেন এবং ছাত্ররা এখন সংস্কার চেয়েছে। এ দু’য়ের মধ্যে সমন্বয় হওয়া সম্ভব ছিল।

এএইচআর/এসএম