গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দলটির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ লেখা হলুদ ফিতা টানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। তার সাড়ে ৮ মাসের মাথায় আবার গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মধ্যরাতে দলটির কার্যালয়ে  অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশ। ওইদিন রাতেই দ্বিতীয় দফায় আবার বিএনপির কার্যালয়ের ‘ক্রাইম সিন’-এর আওতায় আনা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই ) সরেজমিন দেখা যায়, বিএনপির কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

একইসঙ্গে কার্যালয়ে চার পাশে বাঁশের খুঁটিতে ‘ক্রাইম সিন’-এর হলুদ ফিতা টানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আর কার্যালয় দুই পাশে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাখা হয়েছে পুলিশ ক্রাইম সিনের গাড়ি।

পুলিশ বলছে, ‘ক্রাইম সিন’ ফিতা দিয়ে ঘিরে রাখার অর্থ হচ্ছে- বিএনপি কার্যালয়ে কেউ প্রবেশ কিংবা বের হতে পারবে না। অপরাধ তদন্তের জন্য সেখান থেকে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করছে। পুলিশের তদন্ত কাজের এ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয় বন্ধ থাকবে।

দলের কার্যালয়কে ‘ক্রাইম সিন’-এর আওতায় নিয়ে আসার পর গত ২ দিনে বিএনপির কোনও নেতাকর্মী কার্যালয়ে আসেননি। 

তবে গত ২ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলেও দলের পক্ষে থেকে দাবি করা হয়। 

বুধবার ঢাকায় গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্পূর্ণ আগের মতো নাটক সাজিয়ে বিএনপি অফিসে কতগুলো ককটেল বোমা, লাঠিসোঠা রেখে দিয়ে সেখানে ছবি তুলে আবার বিএনপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার অভিযান শেষে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ দাবি করেন, বিএনপির কার্যালয়ের ভেতর থেকে শতাধিক ককটেল, ৫-৬ বোতল পেট্রোল, ৫ শতাধিক বাঁশের লাঠি ও ৯টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এই সময় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এএইচআর/এমএসএ