আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় সারা বাংলাদেশ আজ রক্তাক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটি বলছে, সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে বন্দুকের গুলিতে দমিয়ে দিতে চাচ্ছে। নির্মম হত্যাকাণ্ডসহ সারাদেশে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা এবং গুলিতে নিহত ছাড়াও আরও কয়েকশত ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ জনতা আহত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। হতাহতের এসব ঘটনা চরম অন্যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ও বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় সারা বাংলাদেশ আজ রক্তাক্ত হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় এ পর্যন্ত সারাদেশে ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশেই আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর পুলিশের রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি করেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলায় একযোগে অংশগ্রহণ করেছে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে বন্দুকের গুলিতে দমিয়ে দিতে চাচ্ছে। এটা কোনো সমাধান নয়। আমরা শুরু থেকে বলে আসছি আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের দাবিসমূহের যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে তার সুষ্ঠু সমাধান করার জন্য। কিন্তু সরকার তা না করে প্রথমে আদালতের মাধ্যমে এবং এখন দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে এবং রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চাচ্ছে।

নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে তিনি বলেন, যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার এবং নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের এবং আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জেইউ/এসকেডি