বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা রাষ্ট্রে বহাল থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টি লইয়ার্সের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তার মূল লক্ষ্যই ছিল বৈষম্যহীন একটি দেশ গড়ে তোলা। জাতির দুর্ভাগ্য আজ যখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি যৌক্তিক বিষয় বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি তুলেছে, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার প্রয়াস চালিয়েছেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজধানীর বিজয় নগরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবি পার্টি লইয়ার্স।

এবি পার্টি লইয়ার্সের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলী নাসের খানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও এবি পার্টি লইয়ার্সের আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি যৌক্তিক আন্দোলন করছে। যেখানে তারা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চলছিল। অথচ প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পরপরই তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে বা হয়রানি করা হলে এবি লইয়ার্স তাদের পাশে থাকবে। বিনা পয়সায় সাধারণ ছাত্রদের সব সহায়তা এবি লইয়ার্স দেবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এবি পার্টি লইয়ার্সের সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া বলেন, ২০১০ সালে আমরা প্রথম কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু করেছিলাম। ২০১৮ সালে একবার এ আন্দোলন হয়েছে, এখন আবার নতুন করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। প্রতিবারই আমরা দেখেছি সরকার কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে। এবারও আমরা দেখলাম এই আন্দোলনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি বলেন, বৈষম্যবিরোধী এ আন্দোলনে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ লক্ষণীয়। সরকার যেভাবে ছাত্রীদের ওপরও নিপীড়ন চালিয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট তারেক আব্দুল্লাহ, উদয় তাসমির, নাহিদ হাসানসহ এবি লইয়ার্সের নেতারা।

জেইউ/এসএসএইচ