বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই মাস আমেন মৌসুম, আর দেশে এখন দুর্নীতি ফাঁসের মৌসুম চলছে। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠদের নাম প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে। আজিজ, বেনজীর, মতিউর, আবেদ আলীদের নাম গণমাধ্যমে ফাঁস হচ্ছে। কিন্তু এখনও রাঘব বোয়ালদের নাম আসেনি। এখনও হাজারও আজিজ-বেনজীর রয়ে গেছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে ওলামা দলের পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

রিজভী বলেন, ২০১৮ সালে কোটা বাদ দিলেন। শিক্ষার্থীরা কোটা বাদ নয় সংস্কার চেয়েছিল। কিন্তু এই সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কোটা বাদ দিয়ে এখন ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে আবার কোটা বহাল করলেন আদালতের মাধ্যমে।

শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করার মহাজন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ভারতকে নিরাপদ করতে বাংলাদেশকে অনিরাপদ করেছেন। বাংলাদেশকে ভারতের নয়া উপনিবেশ বানানোর চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, রেল চুক্তির মাধ্যমে করিডোর দিয়ে তিনি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছেন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য শেখ হাসিনার কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।  

বিএনপি এই মুখপাত্র বলেন, ১৯৫ জন সফর সঙ্গী নিয়ে চীন সফরে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। শূন্য হাতে তিনি দেশে ফিরেছেন। চীনের কাছে ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন,  ১ বিলিয়ন ইউয়ানের আশ্বাস পেয়েছেন। ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়ে খালি ঝুড়ি নিয়ে ফেরত এসেছেন।

তিনি বলেন, আদালত আর শেখ হাসিনার মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। শেখ হাসিনার কথার বাইরে কেউ এক পা যেতে পারে না। তিনি আদালতের মাধ্যমে আবার খায়েস পূরণ করলেন।

তিনি বলেন, যে দম্পতির বিয়ে হয়েছে স্বাধীনতার পর, তার সন্তান নাকি এখন মুক্তিযোদ্ধা! এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি দিতেই আবারও কোটা বহাল করেছে সরকার। শুধুমাত্র ছাত্রলীগকে চাকরি দিতেই তা করা হয়েছে।

ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আবদুল বারী ড্যানী, মাওলানা আলমগীর হোসেন, ক্বারী গোলাম মোস্তফা, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

এএইচআর/এসএম