বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ।

প্রশ্নফাঁস নিয়ে রোববার (৭ জুলাই) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে সিআইডি।

অভিযানে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত পিএসসি’র চেয়ারম্যানের সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলীও। সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম তার ছেলে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের রিয়াজ মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের সিয়াম গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা সাংগঠনিকভাবে ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।  

তিনি বলেন, আমাদের মহানগরে বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে মহানগরের রাজনীতি করে। ঢাকার স্থানীয় শতভাগ ছেলেরা রাজনীতি করে না। বিভিন্ন কলেজগুলোতে উপজেলা থেকে যারা ঢাকা শহরে পড়াশোনা করতে আসে, ওরাই ছাত্রলীগ করে। 

তিনি আরো বলেন, সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম আগের কমিটিতে ছিল না। আমাদের কাছে দুইটা ছাত্রলীগের দুইটা কমিটির কাগজ দিয়েছিল। সে আরো ভালো পোস্টের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ভালো পোস্টের জন্য তদবির করেছিল, কিন্তু আমরা সেভাবে তাকে করতে পারিনি।

সূত্র মতে, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম বর্তমান কমিটির আগে মহানগরে কোনো রাজনীতি করেননি। তিনি মাদারীপুরের ডাসা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মহানগর ছাত্রলীগের পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি তা অস্বীকার করেন।

মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিয়াম নগরে কোনোদিন একটা প্রোগ্রামও করেনি। উপজেলায়ও কোনোদিন প্রোগ্রাম করেনি। নগরে টাকার মাধ্যমে নেতা বানাইছে মহানগর নেতারা। আর থানায় নেতা বানাইছে টাকার মাধ্যমে জেল ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক। সে প্রচুর বিলাসিতা করত। আর দান নাম করে শুধু ছবি ও ভিডিও করে মানুষকে দেখাইতো। এলাকার কাউকে কিছু দিলে সেগুলো ভিডিও করে রাখত।

এমএসআই/জেডএস