গোপন চুক্তি করলে এখন বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

‘যারা এখন ভারত বিরোধীতা করছে তারা, নিজেরাই ভারতের কাছে বিক্রি হওয়া’ —প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কীভাবে বিক্রি হলাম, তার প্রমাণ কী? আরে বিক্রি হলে তো আমরা সরকারে থাকতাম।

তিনি বলেন, বৈঠক সব দেশের সঙ্গেই করতে পারি। গোপনে বৈঠক করবো কেন। ওপেনলি বৈঠক করি আমরা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, দরজা-জানালা সব সময় খোলা থাকবে। কান্টেটিভিটি আমার দেশের স্বার্থে হবে। নিজ দেশের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে হবে না। তিস্তার পানিকে বাদ দিয়ে কোনো চুক্তি হবে না। সরকার পানির বিষয়ে কিছু করছে না, সীমান্ত হত্যা নিয়ে কিছুই বলছে না।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তিগুলোতে কোথায় বাংলাদেশে স্বার্থ রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বিএনপির মহাসচিব।   

বিএনপির সৃষ্টি হয়েছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে— এমনটা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বিএনপি সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে হওয়া চুক্তিগুলো নিয়ে আগামী ২৮ জুন বিস্তারিত তুলে ধরে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে করবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এরপর এই চুক্তিগুলো নিয়ে কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করলে আপনারা জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই- আমাদের বক্তব্য বা আন্দোলন ভারতের বিরুদ্ধে নয়। দেশের এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে। সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে ভারতের কাছ থেকে দাবিগুলো আদায় করে নিতে। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় না করে সরকার ভারতের সঙ্গে চু্ক্তি করছে। তিস্তার পানি আমাদের সবার আগে দরকার। কিন্তু এই নিয়ে সরকার কোথাও কোনও কথা বলেন না। এতে বোঝা যায় বর্তমান সরকার দেশপ্রেমিক নয়। বাংলাদেশে বিরোধী সরকার।

ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগে বাংলাদেশে কোন দিক দিয়ে উপকৃত হবে? এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের ভেরত দিয়ে করিডোর তৈরি করে কোথায় লাভ? এখানে ভারত বিরোধীতা নয়। আমাদের প্রশ্ন নিজ দেশের স্বার্থে।

এএইচআর/এসএম