গত ২০ জুন মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। এরপর গতকাল (২৩ জুন) সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে চিকিৎসকরা। দলীয় প্রধান এমন শারীরিক অবস্থার মধ্যে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে চলছে নতুন করে অন্তর্ভুক্তি ও পদোন্নতির ডামাঢোল। যা নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— বিএনপির “বৈদেশিক” সম্পর্ক কমিটি বিলুপ্ত করে গত ১৫ জুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সভাপতি করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠিত হয়। এই অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে হুমায়ুন কবির (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), সিরাজুল ইসলাম (সাবেক রাষ্ট্রদূত), তাসভিরুল ইসলামকে (সভাপতি, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে পদমর্যাদা দেওয়া হয়।

এছাড়া স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটিতে আরও ১৭ জন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- আশরাফ উদ্দিন (সাবেক রাষ্ট্রদূত, কানাডা), ড. এনামুল হক চৌধুরী (সিলেট), এ এন এম ওহিদ আহমেদ (সাবেক ডেপুটি মেয়র, টাওয়ার হ্যামলেটস), আনোয়ার হোসেন খোকন (বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), রাশেদুল হক (বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), নাহিদ খান (বিএনপির সহ-আন্তর্জাকি বিষয়ক সম্পাদক), ড. তোফাজ্জল হোসেন তপু (জাপান), হাফিজ খান সোহেল (ওয়াশিংটন), এ এস এম জি শাহ ফরিদ (পেনসিলভেনিয়া), বদরুল ইসলাম শিপলু (ক্যালিফোর্নিয়া), ডলি নাসির (ইতালি), গোলাম ফারুক শাহিন (নিউ ইয়র্ক), শফিক দেওয়ান (জার্মানি), ড. শামীম পারভেজ (জার্মানি), হাজী হাবিব (ফ্রান্স), কবির আহমেদ (আয়ারল্যান্ড), মো. নায়েমুল বাসির (অস্ট্রিয়া)।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, এখন ম্যাডাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এই অবস্থায় আগামী কয়েকদিন দলের মধ্যে কাউকে পদোন্নতি দেওয়া কিংবা নতুন করে অন্তর্ভুক্তি করার দরকার ছিল না। এগুলো তো খুশির খবর। এই দুঃখের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতারা এগুলো না করলেও পারতো।

তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের উচিত হচ্ছে ম্যাডামের মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে নামা। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু সেটা না করে আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান রাখছি। এই হচ্ছে দলের অবস্থা।

এএইচআর/এসএম