বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন, কিন্তু এর মধ্যেও এই গণতন্ত্র হরণকারী শাসকদল এবং তার মন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যাচার করছেন, অসত্য কথা বলছেন। আইনমন্ত্রী বলেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া  ইচ্ছামাফিকভাবেই চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন। এই কথাটা পুরোপুরি অসত্য, জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্যই তিনি আজকে এ সমস্ত কথা বলছেন। এটা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মমতা এবং জাতির সঙ্গে তামাশা মাত্র।’

রোববার (২৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে উনার পরিবার এবং দলের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও সেই আবেদনকে কেবলমাত্র রাজনৈতিক কারণে উপেক্ষা করা হয়েছে, নাকচ করা হয়েছে। আজকে আইনমন্ত্রী যে সমস্ত কথা বলছেন, প্রতিটি কথাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বলছেন। উনি বলেছেন, আইনের বিধান নেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা পাঠানোর জন্য। এই স্টেটমেন্ট ইজ ইটসেল্ফ আনট্রু এবং এটা আইনের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা, আইনের অপব্যাখ্যা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে  খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির যে ধারায় সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেই ধারার আলোকেই উনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারেন, যেমন উনার সাজা স্থগিতের সময় একটা শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে, উনি সরকারের অনুমতি ব্যতীত বিদেশ যেতে পারবেন না। এই শর্তটা যদি সরকার তুলে নেয়, তাহলেই কিন্তু উনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন।’

কায়সার কামাল বলেন, ‘আমরা মনে করি, সরকার তার রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না, আইনের দোহাই দিচ্ছে, জাতির সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে, ছলচাতুরী করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় চরম নির্মমতার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে খালেদা জিয়া। এই সরকার আইন এবং সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এজন্য এই সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে, আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

এমএইচডি/কেএ