আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যানারে জয়-পুুতুল
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তির আলোচনা সভার ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবি স্থান পেয়েছে। ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার দুই কন্যার ছবিও রয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিন রোববার (২৩ জুন) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা করবে দলটি। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমরা প্রস্তুত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সব আয়োজন সম্পন্ন করতে। আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা আনন্দঘন, উৎসবমুখর হয়েছে। এরপর স্বতঃস্ফূর্ত, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন উপস্থিতি হবে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।”
এদিকে অনুষ্ঠান ঘিরে সব কার্যক্রম শেষ হয়েছে। রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের পাশের গেটটি ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এছাড়া ছবির হাট, টিএসসি সংলগ্ন গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেট, রমনা কালিমন্দিরের গেট এবং তিন নেতার মাজারের গেটগুলো নেতাকর্মীদের প্রবেশের জন্য রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সবগুলো গেটে নিরাপত্তা আর্চারি বসানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্বপাশে আলোচনা সভার মঞ্চ প্রস্তুত করার সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারের বাইরে প্রায় ২০টি চেয়ার রাখা হয়েছে সামনের সারিতে। আর নেতাদের বসার জন্য পেছনে রাখা হয়েছে প্রায় ৪০টি চেয়ার। মঞ্চে পেছনে দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে বিশাল আকৃতির ব্যানার।
যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ছবি। মঞ্চের ডান পাশে ব্যানারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও মুহাম্মদ মনসুর আলীর ছবি। আর বাম পাশে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন চার নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হক, মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের ছবি।
এছাড়া জাতীয় নেতাদের মাঝখানে শোভা পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর দুই দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবি।
মঞ্চের ব্যানারে এই দুজনের ছবি দেখা যাওয়া এবং তারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় আসবেন কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা তো দেশে নেই। আসবেন কেমন করে।”
এমএসআই/এসএম