বহু দেশ বাংলাদেশের উপর খবরদারি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে সরকার বাংলাদেশের প্রভুত্ব অন্য দেশের হাতে বিকিয়ে দিয়েছে। এই সরকার নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। জনগণের যত কষ্ট এই অবৈধ সরকারের কারণেই। যদি ভোটে নির্বাচিত সরকার হতো, তাহলে দেশে জনগণের কোনো কষ্ট থাকতো না। এটা প্রমাণিত।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। ২০১৮ সালে কারাবন্দি হওয়ার আগে ঈদের দিন জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যেতেন খালেদা জিয়া।

সেন্টমার্টিন একটি দ্বীপ, যেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ কিন্তু আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মন্তব্য করে আব্বাস বলেন, সেখানে খাদ্যসামগ্রী পাঠানো যাচ্ছে না। কার ভয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়ে? অথচ এই মিয়ানমার সেনাবাহিনী ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতির কাছে নত হয়ে মাফ চেয়ে বিদায় নিয়েছিল। সেই মিয়ানমারের আজ কতটুকু ঔদ্ধত্য হয়েছে, তারা আমাদেরকে রক্তচক্ষু দেখায়। কারণ এই দেশে একটি অবৈধ সরকার, অনৈতিক সরকার। দেশ ও দেশের বাইরে তাদের কোনো সমর্থন নেই। এ কারণেই মিয়ানমার একটা সুযোগ নিচ্ছে।

ঈদ মানে খুশি উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কিন্তু এই খুশির মন-মানসিকতা আজ বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নেই। সবার বেদনা, কষ্ট মুখ, 
চেহারা। আজ সারাদেশের মানুষ অক্টোপাসের মতো বন্দি অবস্থায় আছে। আমরা কোনোদিক দিয়ে ভালো অবস্থানে নেই। শান্তিতে নেই।

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে আব্বাস বলেন, আমাদের বহু নেতাকর্মী জেলে। বহু নেতাকর্মীর ঈদ জেলে কাটে, কারো কারো ফুটপাতে কাটে। যেসব নেতাকর্মী ঘরে থাকতে পারেন না। তাদের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন ছাড়া আমাদের আর কোনো রাস্তা নেই।

দেশের মানুষের আজ কথা বলার অধিকার নেই দাবি করে সাবেক এই মেয়র বলেন, না খেয়ে মরে যাবে তবুও কথা বলতে পারবে না। এ থেকে উত্তরণের জন্য দেশবাসীর কাছে এই দিনে সব ভয় ভীতিকে কোরবানি দিয়ে, এই সরকারকে অবশ্যই মোকাবিলা করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অসুস্থ জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

এএইচআর/জেডএস