গত কয়েক বছরের ন্যায় এবার ঈদেও একটি গরু ও একটি খাসি কোরবানি দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার দিন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এই দুই পশুর কোরবানি হবে। এ ছাড়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে একটি গরু কোরবানি করা হবে।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডাম এবারও একটি গরু ও একটি খাসি কোরবানি দেবেন।

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে খালেদা জিয়া গরুর মাংস খেতে পারেন না বলে জানিয়ে আব্দুস সাত্তার বলেন, তিনি খুবই নরম খাবার খান।

তিনি আরও বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) দেওয়া কোরবানির পশুর মাংসের কিছু অংশ তার বাসভবনের স্টাফদের খাবারের জন্য রাখা হবে। বাকিগুলো রাজধানীর কয়েকটি এতিমখানা এবং আশপাশের গরিবদের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামের নামে তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে একটি গরু কোরবানি দেওয়া হবে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এবার খালেদা জিয়াকে নিজ পরিবারের সদস্যদের ছাড়া ঈদ উদযাপন করতে হবে। কারণ এবার ছোট ছেলের বউ কিংবা নাতনিদের কেউ ঢাকায় আসেনি। তবে, ঈদের দিন তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা রয়েছে ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা এবং বোন সেলিমা ইসলামের।

এ প্রসঙ্গে শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ম্যাডামের পরিবারের সদস্যরা কেউ ঢাকায় আসছেন বলে আমার জানা নেই।

চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছেন, গত রমজানের ঈদেও খালেদা জিয়ার পরিবারের কোনো সদস্য ঢাকায় আসেননি। এবারও আসেননি। তবে ঈদের দিন সকালে লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও নাতনি জাইমা রহমান এবং ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, তাদের দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন খালেদা জিয়া। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন। দুপুরে দিকে ভাই-বোনরা এলে তাদের সঙ্গে খাবার খাবেন।

বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, এবার ঈদের দিন রাত ৮টায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যাবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইমলাম আলমগীর ঈদ করতে নিজ এলাকায় ঠাকুরগাঁও আছেন। তিনি ঈদের আগেই সাক্ষাৎ করে গেছেন। ঈদের পরে ঢাকায় ফিরে আবার সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে প্রতি বছর ঈদে তার গুলশান কার্যালয় ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেট টুগেদার হতো বলে উল্লেখ করেন আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, তখন ম্যাডামের বাসা থেকে রান্না করা খাবার আসতো। এখন তো ম্যাডাম অসুস্থ। তাই এগুলো হয় না।  

এএইচআর/এমজে