ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিলে হামলাকারীরা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট বলে জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

সোমবার (১০ জুন) আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়। একইসঙ্গে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে জসিম উদ্দিন বলেন, ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে বিগত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা-কর্ণফুলী সংসদীয় আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক সফল ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির নেতৃত্বে দুই উপজেলা ছিল শান্তি ও অহিংস রাজনীতির মডেল। এই ১৫ বছরে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ শান্তিতে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলাকে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী লীগের লেবাসধারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত চোর ডাকাতদের একত্রিত করে দুই উপজেলায় সন্ত্রাসীদের নিয়ে মহড়া চলছে।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতাই গত ৭ জুন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকার গঠনের প্রথম বাজেট ঘোষণার পর আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের আনন্দ মিছিলকে বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী ও বিএনপি-জামায়াতের এজেন্টরা ওৎ পেতে ছিল। আমাদের মিছিল শুরু করার আগমুহূর্তে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এম এ হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, বরুমছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা অজিত কুমার দাশ, শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মামুননুর রশিদ, চাতরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তাজু উদ্দিন, যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিনসহ ১৩ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত করা হয়েছেন। আমরা পরিকল্পিত এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এর আগে শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বাজেট-পরবর্তী স্বাগত মিছিলকে কেন্দ্র করে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অনুসারী এম এ মান্নান চৌধুরীসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

আরএমএন/এসএসএইচ