মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। 

দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে এ সরকারের আমলে ৩ বার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে কিন্তু সরকার সতর্ক হয়নি। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে আয়োজন করে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ। 

নুর দাবি করেন, গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে- মালয়েশিয়া সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ৪ এমপি (সাবেক অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল, ফেনীর নিজাম হাজারী, ঢাকার বেনজীর আহমদ ও জাতীয় পার্টির এমপি মাসুদ উদ্দিন)। একজন অর্থমন্ত্রী তার স্ত্রী, কন্যাকে নামিয়েছেন আদম ব্যবসায়, ফেনীর নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে এর আগেও পত্র-পত্রিকায় নিউজ হয়েছে তিনি ৪৫০ কোটি ৫০০ কোটি টাকায় ফেনীতে বাংলো করেছেন। এতো টাকা তিনি কোথায় পেলেন? তার পূর্বপুরুষ কি কেউ জমিদার ছিলেন? 

নুরের অভিযোগ, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলে, ওবায়দুল কাদের অনেক কথা বলেন। অথচ ওবায়দুল কাদের ফেনীতে গেলে তার (নিজাম হাজারী) বাসায় থাকেন, তারা সরকারের ঘনিষ্ঠ। সরকার কি পারবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে? জনগণ দেখতে চায় সরকার মালয়েশিয়া সিন্ডিকেটে জড়িত ৪ এমপির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়।

সাবেক এই ভিপি বলেন, সরকারের দুর্নীতি-অনিয়ম, লুটপাট নিয়ে কথা বললে ওবায়দুল কাদের বিএনপি ১৮/২০ বছর আগে কি করেছে সেটার সঙ্গে তুলনা করে। এরকম একটা সরকারের অধীনে আমরা আছি। শুধু মালয়েশিয়া নয় মধ্যপ্রাচ্যেও আমাদের শ্রমবাজারে সংকট। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি ইমামদের সুযোগ থাকলেও সরকারের অযোগ্যতার কারণে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না। 

সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

এএইচআর/এমএসএ