বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারকে পরাজিত করতে না পারলে হামলা-মামলার জীবন থেকে আমরা মুক্তি পাব না। এই সরকারের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নেমে আসতে হবে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া শিশু-কিশোর মেলা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বিএনপি প্রতিষ্ঠিতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাফল্য ও ব্যর্থতা যাই থাকুক না কেন, আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে না পারব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই কষ্টকর জীবন, কারাগারের জীবন ও হামলা-মামলার জীবন এটা থেকে মুক্তি পাব না। সেজন্য আসুন, ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারকে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত করি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ সেদিনই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে, যেদিন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার অর্জন করেছিলাম, সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা কী ভাবা যায়... ১০-১২টি ব্যাংককে লুটপাট করে একেবারে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আপনি ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যান, সেসব দেশেও এত লুটপাট করা হয় না। আমি অন্য কোনও দেশের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি না, এই দেশকে একটা লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে দেশে রূপান্তরিত করেছে সরকার।

দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে দুদু বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আদরের দুলাল ছিলেন। এত ভালোবাসা, সম্মান ও শ্রদ্ধা জিয়াউর রহমানের আগে অন্য কোনও নেতা পেয়েছে কি না জানা নেই। তার মৃত্যুর পর যে জানাজা ঢাকা শহরে আমরা দেখেছি... শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নয়, সারা বিশ্বে এই ধরনের জানাজা খুবই কম দেখেছি।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি দ্বীন মোহাম্মাদ দুলুর সভাপতিত্বে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়া শিশু কিশোর মেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর সিকদার ও কৃষকদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এসকে সাদীসহ অনেকে। 

এএইচআর/কেএ