‘দুর্নীতি আর লুটপাট করে দেশকে তলাবিহীন করে ফেলেছে সরকার’
দুর্নীতি আর লুটপাট করে সরকার দেশকে ‘তলাবিহীন’ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শুক্রবার ( ৩১ মে) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে ‘গণদোয়া’ পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই গণদোয়ার আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা এই দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আব্বাস বলেন, একমাত্র জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সিলেটে যুদ্ধ করেছিলেন সরাসরি। জিয়াউর রহমানের নাম শুনলেই অনেকের গাত্রদাহ হয়। কারণ যেই কাজটা তাদের করার কথা ছিল ওই কাজটা তিনি করেছেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনা করেছেন। এ সময়ে তিনি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে যেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন, তা এখন কল্পনাও করা যায় না। সেই বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন করে ফেলেছে এই সরকার।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, পত্রিকায় দেখলাম-এক লিটারে জ্বালানি তেলে আড়াই টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনিতে তো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দাম বাড়ানোর অর্থ হলো সকল জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া। বিদ্যুৎ-তেল এ গুলোর দাম বাড়লে এটা মানুষের শিরায় শিরায় প্রবেশ করে, প্রতিটা জায়গায় এর প্রভাব পড়ে।
এখন বর্গীরা ক্ষমতায় উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এ বাংলাদেশ এতো দুরবস্থা কেন? আজকে লুটেরাদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। আমরা আগে শুনতাম বর্গীরা দেশে আসত, লুট করে চলে যেতে। এখন বর্গীরাই ক্ষমতায় বসে গেছে। তারা লুট করে চলে যায় না, তারা লুট করে সম্পদ দেশের বাইরে পাচার করে। সেই বর্গীরা ক্ষমতায় আছে এখন।
তিনি বলেন, বিএনপি মানুষের মননে-মগজে টিকে আছে, টিকে থাকবে এবং এই দেশকে সকল রকমের বালা-মসিবত-বিপদ থেকে রক্ষা করবে। বিএনপির হতে একমাত্র স্বাধীনতা নিরাপদ। কারণ এই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যিনি দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সুতরাং এই একমাত্র বিএনপিই একটা দল যার হাতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ। অন্যকোনো দলের হাতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন।
এএইচআর/এসকেডি