নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নিজের কর্মদক্ষতায় খালেদা জিয়া দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বলে দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর গ্রন্থটি নেতা-কর্মীদের পড়ার অনুরোধ জানান মান্না। 

রোববার (২৬ মে) গুলশানে হোটেল লেকশোতে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ’র লেখা ইংরেজি গ্রন্থ ‘বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইভ, হার স্টোরি’-এর বাংলা সংস্করণ ‘খালেদা জিয়া : জীবন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

ইতি প্রকাশনা ৬৭০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে। শাহরিয়ার সুলতান ইংরেজি এই গ্রস্থটি অনুবাদ করেন।

সরকারের সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ৭ জানুয়ারি পরে দেশের মানুষের মধ্যে অনেকে বলেছেন যে, আর পারলে না, এই সরকার পাঁচ বছরই থাকবে।

মান্না বলেন, ‘এক প্রাক্তন আইজি, এক প্রাক্তন চিফ অফ স্টাফ, আরেকজন তিনবারের এমপি। তাদের চেহারা এক্সপোজড হয়েছে। পত্রিকায় লিখেছে দেখলাম... তিন বিষয় নিয়ে বিব্রত সরকার। এই দায় কার? চিফ অব স্টাফ কে বানিয়েছে, আইজি কে বানিয়েছে, এমপি কে বানিয়েছে?’

রাষ্ট্র বিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা জামান বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজন পপুলার লিডার। আজ তার ওপর জেল-জুলুম-নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি ভিকটিম হয়েছেন, এটা একটা টর্চার। রাজনীতি করে গিয়ে তিনি বিভিন্ন সরকারের আমলে ভিকটিম হয়েছেন। শেখ হাসিনার আমলে জেলে গিয়েছেন, এরশাদের আমলে জেলে গিয়েছেন, এখন তিনি কত বছর ধরে জেলে আছেন, চিকিৎসা করার সুযোগ পাচ্ছেন না।’

তিনি বলেন, ‘চোখ দেখাতে আমাদের প্রেসিডেন্ট চলে ‍যাচ্ছেন সিঙ্গাপুরে ফ্যামিলিসহ, আরও অনেক নেতা চলে যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর, লন্ডন, জার্মানিতে যখন-তখন। অথচ বেগম জিয়াকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা একটা প্রতিশোধ। এভাবে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহর সভাপতিত্বে ও কবি আবদুল হাই শিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, গ্রন্থের অনুবাদক শাহরিয়ার সুলতান, ইতি প্রকাশনার প্রকাশক জহির দীপ্তি ও গ্রন্থের লেখক প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর সহধর্মিনী দিনারজাদি বেগম রাখেন। 

এএইচআর/কেএ