দুই দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। শনিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

এতে ওলামা লীগের বক্তারা বলেন, গোটা মুসলিম বিশ্ব আশা করেছিল তুরস্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসকে অস্ত্র সহযোগিতা দেবে, সৈন্য পাঠাবে, সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে। কিন্তু, সামান্য বিবৃতি আর বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা ছাড়া কার্যত কিছুই করেনি। এতে গোটা মুসলিম বিশ্ব মর্মাহত। সৌদি যুবরাজ বলেছেন, তার দেশ ফিলিস্তিনি জনগণের একটি স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রক্ষা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য সবসময় তাদের পাশে থাকবে। আরেক প্রভাবশালী আরব দেশ কাতার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিছু বিবৃতি দিচ্ছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের সাথে ১৯৮০ সালেই চুক্তি করা মিশর উভয়পক্ষকে সংযত হতে বলেছে। মরক্কো গাজায় সামরিক হামলায় সামান্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আর আরব বিশ্বের বাইরে অনেকটা একই সুরে কথা বলেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো। তাদের পক্ষ থেকে শুধু মৌখিকভাবে ফিলিস্তিনিদের স্বতন্ত্র-স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু গোটা মুসলিম বিশ্ব মিলে সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কথা কেউই বলছে না।

বক্তারা আরও বলেন, নামধারী মুসলিম বিশ্ব শাসকরা পশ্চিমাদের চেতিয়ে কেউ নিজের ক্ষমতাকে দুর্বল করতে চায় না। মিশর, তিউনিসিয়ার মতো দেশও এর বাইরে নয়। এ মুহূর্তে সব মুসলিম শাসকদের উচিত সন্ত্রাসী ইসরায়েলের সাথে সব বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করা এবং সরাসরি জিহাদ ঘোষণা করা। 

বক্তারা বলেন, ইসরায়েলি পণ্য, সংবাদ সংস্থা, সাংস্কৃতিক ও অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান সরাসরি বর্জন, পরিহার ও প্রতিহতকরণ করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সমর্থনকারী ইসরায়েলি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা বর্জন, সমর্থনকারী সমস্ত কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে। বাণিজ্য চুক্তি বন্ধ ও ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য গোটা মুসলিম বিশ্ব ও মুসলিম শাসকদের এক হতে হবে।  

ওএফএ/পিএইচ