চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তিনি সাধারণ কোনো নাগরিক নয়। আওয়ামী লীগের এমপি বিদেশে গিয়ে খুন হয়ে গেলেন। অথচ এখন পর্যন্ত তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি সরকার।

তিনি বলেন, আজ ডামি সরকারের সংসদ সদস্যরাও নিরাপদ নয়। তাছাড়া সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদালতের আদেশ জাতির জন্য লজ্জার। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী এ সরকার। তারা প্রশাসনকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করার কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৪ মে) নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকীর কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. শাহাদাত।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত সততা ও স্বাধীনতাযুদ্ধে ঐতিহাসিক ভূমিকায় তার একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল জনগণের মধ্যে। ১৯৭৮ সালে তিনি যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তাতে সমাজের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। তিনি প্রচলিত ধারার রাজনীতির বাইরে নতুন একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব মানুষের সামনে হাজির করেন। জনগণ তার সে রাজনীতিকে গ্রহণ করেছিল। তার ১৯ দফা কর্মসূচিকে এ দেশের মানুষ তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথ নির্দেশক বলেই গ্রহণ করেছিল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

সভায় শাহাদতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ২৯ মে (বুধবার) বিকেল ৩টায় কাজীর দেউরীর ভিআইপি ব্যাঙ্কুইট কমিউনিটি হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাছাড়া দুপুর ১২টায় একই স্থানে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে বই মেলার উদ্বোধন করা হবে।

৩০ মে ভোরে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং বেলা ১১টায় ষোলশহর ২ নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ৪১টি ওয়ার্ডে শাহাদতবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

এমআর/এসএসএইচ