সাবেক সেনাপ্রধান এম এ আজিজ ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির দায় আওয়ামী লীগ সরকার এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। 

দুদু বলেন, সরকার বড় বিপদে আছে। গতকাল দখলদার সরকারের প্রধানমন্ত্রী সাদা চামড়া প্রসঙ্গে যে কথা বলেছেন সেটি অত্যন্ত মারাত্মক। সাদা চামড়া বলতে আপনি—শেখ হাসিনা কাদেরকে বুঝিয়েছেন তা জাতির সামনে স্পষ্ট করুন।   

শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছে যে, সাদা চামড়ারা নতুন রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছে। এই কথাটি আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এই কথার মধ্যে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন আছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব থাকবে কি না সেটা দেখা দিয়েছে। 

আওয়ামী লীগ সরকার আজকে বাংলাদেশের রাস্তা ঘাট, বন্দর পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করে দুদু বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছে ভারতকে এতো কিছু দিয়েছেন, যা ভারত কখনো ভুলতে পারবে না।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বলেন, জানি আপনি অস্থিরতার মধ্যে আছেন। এক সময়ের আপনার সেনাপ্রধান এম এ আজিজ বর্তমানে সপরিবারে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছে। আপনার একসময়ের পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পদ এবং ব্যাংক জব্দ করার জন্য বলেছে কোর্ট। সে শুধু আপনার সমর্থকই ছিলেন না, তার ঘাড়ে চেপে পুলিশের সমর্থনে সরকার গঠন করেছেন।     

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আনার স্বর্ণ চোরাচালানসহ অনেক অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। 

৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসার তিনমাসের অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী অস্থির হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করে দুদু বলেন, বাকি সময় এখনও পড়ে আছে। চারিদিকের যে পরিস্থিতি এখন সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে টান পড়েছে। সরকার থাকবে কি না, কবে যাবে, কত তারিখে পদত্যাগ করবে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ওলামা দলের সদস্য সচিব আবুল হোসেন, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

এএইচআর/এমএসএ