রাইসির মৃত্যুতে ইরান দূতাবাসে গিয়ে এবি পার্টির শোক প্রকাশ
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় ইরান দূতাবাসে গিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
বুধবার (২২ মে) তারা দূতাবাসে রক্ষিত শোক বইতে স্বাক্ষর করেন।
বিজ্ঞাপন
গত ২০ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তিনিসহ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রাহমাতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন
ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নেতৃবৃন্দের এই আকস্মিক মৃত্যুতে ইরান ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে এবং ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাস শোক পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল জানান, এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ আজ বেলা ১২ টায় গুলশানস্থ ইরান দূতাবাসে পৌঁছলে ইরানি রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভৌশি ও দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর জাভেদ আশকারী তাদের স্বাগত জানান। নেতৃবৃন্দ ইরানি রাষ্ট্রদূতকে এবি পার্টির পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।
তারা বলেন, ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন মুসলিম বিশ্বের একজন সাহসী বিচক্ষণ নেতা। তিনি ইরানের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। রাইসির নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলো ইরান। বিশ্ব মুসলিমের স্বার্থ রক্ষায় তার অবদান ছিলো অবিস্মরণীয়।
বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের জন্য রাইসি ও হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। তার মৃত্যুতে বিশ্ব যেমন হারালো একজন সাহসী, বিচক্ষণ নেতাকে তেমনি মুসলিম বিশ্ব হারালো একজন অভিভাবক।
নেতৃবৃন্দ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ মৃত্যুবরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং ইরানের নাগরিকদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। পরে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দূতাবাসের খোলা শোক বইতে শোক বাণী লিখে স্বাক্ষর করেন।
জেইউ/এমএসএ