আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আবারও হ্যাকের ঘটনা ঘটেছে, এটা সেখানকার কর্মকর্তাদের চেহারা দেখে বুঝা যায়। সাংবাদিকরা সেখানে ঢুকতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক কি কোন নিষিদ্ধ পল্লী, যে সাংবাদিক ঢুকতে পারবেনা? সাংবাদিকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সেখানে ঢুকবেন কি না।

শনিবার নয়াপল্টনের একটি রেস্টুরেন্টে জিয়া মঞ্চের ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা সবাই চাকরি হারানোর ভয়ে আছে। তাই অনেক সত্য অপ্রকাশিত থাকছে। সাংবাদিক নির্যাতনের কোনো বিচার নেই। সাগর রুনীর হত্যার তদন্ত ১০৮ বার পেছানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের পণ্য বয়কটের কথা বলব না, তবে ভারতের পণ্য ক্রয় করার আগে নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হবে। কেননা তাদের ৫২৭টি পণ্য ইউরোপ ব্যান করে দিয়েছে। পাশাপাশি দেশের জন্য ক্ষতিকর আওয়ামী লীগকেও বর্জন করতে হবে।

ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদেররা কোথায় ছিলেন? মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি রাজাকার ছিল গোপালগঞ্জে। এখন গোপালগঞ্জে হারিকেন দিয়েও রাজাকার পাওয়া যায় না। এখন মুজিব কোট পরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের হয়ে গেছেন। তাদের কারো নাম এখন রাজাকারের তালিকায় নেই। আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধা নেই, সেটা বলা যাবে না, তবে যারা আছে সবাই প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগ ফেরিওয়ালার মতো বিক্রি করছে।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছে কয়দিন পরে মানুষ টের পাবে। কোষাগার খালি, ডলারের অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। শিল্প কারখানা বন্ধ হতে বসেছে। চাকরির বাজারে হাহাকার। বন্ধ নেই লুটপাট। লুটপাট করা সংবিধানে লেখা নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে লুটপাট যেন অলিখিত সংবিধান।

দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপিতে ভেজাল মাল থাকলে আন্দোলনের পথ আরও লম্বা হবে। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মঞ্চের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি