বিএনপির নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবিতে দলটি নতুন কর্মসূচি দেবে  বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বিকালে রাজধানীর পূর্ব পান্থপথ এলাকায় এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এ ঘোষণা দেন।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ-এ যুক্ত এলডিপি সভাপতি জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপি’র নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিরতিহীন আন্দোলন চালিয়ে এসেছেন। সামনে গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় নতুন কর্মসূচি দেবেন।

অলি আহমদ বলেন, ‘আপনারা এখনও অনেকে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। আশা করি, দেশে গণতন্ত্র এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কৃষক, শ্রমিক, যুবক এবং ছাত্র সমাজ সকলে নিজ নিজ জায়গা থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসবেন। যত দ্রুত সম্ভব আমরা বিএনপি’র নেতৃত্বে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম বিদ্রোহকারী সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জাতির প্রতি আমার কিছু কর্তব্য রয়েছে। কোনও কারণে যদি আমি আমার দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন না করি তার জন্য আমাকে সমগ্র জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আইনের শাসন; অর্থনীতি; শিক্ষা ব্যবস্থা; পাঠ্যবইয়ে ইসলাম প্রসঙ্গ; বেকারত্বসহ নানা প্রসঙ্গে সরকারের সমালোচনা করেন। এছাড়া বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী আমরা কোনো নদী থেকে পানির ন্যায্য অংশ পাচ্ছি না। গুরুত্বপূর্ণ গঙ্গা ও তিস্তা নদীতেও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভারতের তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রী শ্রী জগজীবন রামের সঙ্গে বৈঠক করে গঙ্গার পানি বণ্টনে একটি চুক্তি করেন। চুক্তিতে ছিল, ভারত বাংলাদেশকে ৩২ হাজার কিউসেক পানি রিলিজ করবে, ওই পানি গঙ্গা বাঁধের উপর যেন মজুত থাকে তা নিশ্চিত করবে। ওই চুক্তিতে একটা গ্যারান্টি ক্লজ সন্নিবেশ করা হয়েছিল।

যা পরবর্তীতে এরশাদের আমলে গ্যারান্টি ক্লজ উঠিয়ে দিয়ে ৩২ হাজার কিউসেক এর স্থলে ২৮ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহের চুক্তি হয়। যা বর্তমান সরকারের আমলে আরো হ্রাস পেয়েছে। ফলে সমগ্র দেশে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এএইচআর/এমএসএ