নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও দলটির তৃণমূলের অনেক নেতা ভোটে অংশ নিয়েছেন। পরে দল তাদের বহিষ্কার করে। 

এদিকে এ দফার ভোটে বেসরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।   

বিএনপির বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন- বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হন আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৩৬৬ ভোট পান।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তিনি ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুক ১৬ হাজার ৫২ ভোট পান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা ১৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।

আর গোমস্তাপুর উপজেলা ৪০ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বহিষ্কৃত উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আশরাফ হোসেন আলিম।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।

গাজীপুর সদর উপজেলার ১৮ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৮২ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। ৪ ধাপের এ নির্বাচনে অংশ নেওয়া মোট ১৪৫ জনকে এখন পর্যন্ত বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

এএইচআর/এমএসএ