ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে ঈদের পর মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। তবে এর মধ্যেই মুক্তি মিলেছে মামুনুল হকের। 

শুক্রবার (৩ মে) সকালে কাশিমপুর-৪ হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। 

এর আগে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্ট থেকে মাওলানা মামুনুল হক গ্রেপ্তার হন। এ যাবৎ তার বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় গত রোববার চট্টগ্রামের সিএমএম আদালতে তার জামিন হয়। 

গত ২৯ মার্চ বিকেলে ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় সংগঠনটির এক ইফতার মাহফিলে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘ঈদের আগেই মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি হবে, না হয় ঈদের পর আমরা মাঠে নামব।’

১৯ মার্চ মামুনুল হককে জামিন দেওয়ার কথা ছিল বলে জানান জুনায়েদ আল হাবিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, আপনারা জামিন আবেদন করেন, মুক্তি হয়ে যাবে। কিন্তু ১৯ তারিখে মুক্তি হয় নাই। ঈদের পূর্বে মামুনুল হককে মুক্ত দেখতে চাই। না হয় ঈদের পরে আঙুল বাঁকা করতে বাধ্য হব।’

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান সেসময় পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে ছিলেন। 

জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘তিনি (মহাসচিব) ফোন করে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন, আমি যে কথাটি বলেছি, সেই কথার সঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ একমত। তিনি বলেছেন, আমাদের সঙ্গে যেভাবে বারবার প্রতারণা করা হয়েছে, কথা রাখা হয় নাই। আপনি আমার পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলে দেন, মুক্তি হবে (মামুনুল হকের) ঈদের আগে, না হয় ঈদের পর আমরা মাঠে নামব।’

মামুনুল হকের মুক্তি চেয়ে হেফাজতের নায়েবে আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক খলিল আহমদ কাশেমী বলেন, ‘(মামুনুল হকের) মুক্তির জন্য আমরা অনুরোধ করছি, সময় হলে আমরা ওনাকে যেমনভাবে হোক না কেন, মুক্ত করব।...আমাদের কঠোরভাবে কর্মসূচি দিতে হবে।’

ইফতার মাহফিলে সংগঠনের আরও বেশ কয়েকজন নেতা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন।

এসএইচআর/এমজে