আজ দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী নতজানু সরকার।

আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তীব্র গরমে মানুষের মাঝে বোতলজাত পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

আব্বাস বলেন, আজ ফারাক্কায় পানি নেই। পদ্মা, যমুনা ও তিস্তায় পানি নেই। ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশোর মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহর ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না।

ঢাকার চারপাশের জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সরকারের মদদপুষ্ট ভূমিদস্যুরা তা ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে-তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে। বর্তমান গণবিরোধী ও নতজানু সরকারের কারণে আমাদের ওপর গজব নাজিল হয়েছে। এই গরমের জন্য সরকারই দায়ী।

মির্জা আব্বাস বলেন, একজন নাকি হিট অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে বলবো— সরকারকে বলুন ঢাকার চারপাশে খালগুলো খুলে দিতে। ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলুন। না হলে সারা দেশের জন্য পানি আনতে হবে। এসব নিয়ে কথা বলুন। তবেই বুঝবো আপনি দেশ ও ঢাকাকে ভালোবাসেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম। ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন— বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।

এএইচআর/এনএফ