ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই চলমান সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়
গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যে কঠিন অবস্থার মধ্যে দেশ এবং জাতি পড়ে গেছে, সেখান থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের সবাইকে আমরা এখানে পাচ্ছি। আমার আন্তরিক আবেদন, আসুন আজকেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এই কঠিন অবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
রোববার (২১ এপ্রিল) প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণফোরামের উদ্যোগে বর্ণাঢ্যভাবে ড. কামাল হোসেনের জন্মদিন পালন করা হয়। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নিজের জন্মদিন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, ইতিহাস থেকে যেমন শিক্ষা আমরা পাচ্ছি, যখনই আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছি তখন যত কঠিন চ্যালেঞ্জই হোক আমরা সেটি অতিক্রম করতে পেরেছি। আসুন আমরা আজকে এই সিদ্ধান্ত নিই, আমরা সকলে মিলে একটা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিই।
বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ এখন অন্ধকারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন অন্ধকারের মধ্যে আছি। এই গভীর অন্ধকার রাত প্রায় শেষের দিকে। রাত যত গভীর হয় সকাল ততো কাছে আসে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ডা. কামাল হোসেন এখন পর্যন্ত সবার কাছে প্রাসঙ্গিক। তার দিকে আঙুল তুলতে পারে এমন কেউ এই দেশে নেই। কেউ বলতে পারবে না তিনি চুরি করেছেন, সন্ত্রাসী কাজ করেছেন। আমি চাই তিনি আরও অনেক সময় বাঁচুক।
তিনি বলেন, মানুষের সামনে আশার বাতি জ্বালানোর কাজ ড. কামাল এখনো করতে পারেন। এখনো তিনি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করতে পারেন। ড. কামাল হোসেন শুধু গণফোরামের সভাপতি না, তিনি সারাদেশের মানুষের সভাপতি। সারা দেশের সবাইকে একত্র করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার যে ইমেজ প্রয়োজন, সেই ইমেজ ড. কামাল হোসেনের আছে।
জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ড. কামাল হোসেন আমাদের দেশের বাতিঘর হয়ে সারাজীবন সমুজ্জ্বল থাকবেন এবং আমাদের দিশা দেখাবেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমাদের এখানে গুনি মানুষের কদর নেই। এমন একটি সময়ে আমরা বসবাস করছি, যেখানে ব্যতিক্রম ছাড়া কেউ সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারেন না। ড. কামাল হোসেন আমাদের ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তার মধ্যে একজন কামাল হোসেন। এগুলো ইতিহাসের অংশ। কিন্তু আওয়ামী লীগ ড. কামাল হোসেনকে ধারণ করতে পারেনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ছাত্র রাজনীতি করার সময় তাকে শাসক দলের রাজনীতিবিদ বলে মনে হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই মনোভাব পরিবর্তন হয়েছে। তিনি শাসক শ্রেণির মধ্যে থাকলেও জনগণের জন্য সোচ্চার ছিলেন। তিনি ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ ব্যক্তি। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে থেকেছেন। তার কর্ম বাংলাদেশের মানুষ মনে রাখবে।
ওএফএ/কেএ