আসন্ন স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ থেকে ১৫ গুণ বৃদ্ধি করে এক লাখ ও পঁচাত্তর হাজার টাকা করার সিদ্ধান্তকে চরম স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা। তাদের দাবি, কালো টাকার মালিক ও দুর্বৃত্ত মাফিয়াদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় এসব কথা বলেন দলটির নেতারা। 

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে সৎ জনবান্ধব এবং জনগণের সত্যিকারের নেতা কর্মীদের পক্ষে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।   

নেতারা বলেন, একদিকে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ধসে পড়েছে, তখন উপজেলা নির্বাচনে ১০-১৫ গুণ জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে অর্থহীন করে তুলবে। অগণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে ২০১৪, ’১৮ এবং ’২৪ এর ডামী নির্বাচনে দেশের জনগণ অংশগ্রহণ করেনি। জনগণকে যেভাবে নির্বাচনে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদেরকে সেভাবে নিরুৎসাহিত করতেই সরকারের এই কূটকৌশল। কারণ সরকার ভালো ভাবেই জানে দেশের মানুষ তাদেরকে ভোট দেবে না। 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সারসহ অনেকে। 

এএইচআর/কেএ