হেফাজতের কমিটি বিলুপ্তির পর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের সদ্য সাবেক আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির অন্য চারজন হলেন, মহিববুল্লাহ বাবুনগরী, নুরুল ইসলাম জিহাদী, সালাউদ্দিন নানুপুরী ও মিজানুর রহমান চৌধুরী
রোববার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে হেফাজতে ইসলামের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, চলমান অস্থির ও নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা পরবর্তী উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শক্রমে ৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলো।
বিজ্ঞাপন
৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার দেড় ঘণ্টা পর সদস্য হিসেবে আরও ২ জনকে যুক্ত করা হয়। তারা হলেন- মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী ও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান।
হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এই ৫ জনের আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে হেফাজতের যাবতীয় কার্যক্রম ও কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
আহ্বায়ক কমিটি অতি দ্রুত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবেন বলেও জানানো হয়েছে।
রোববার রাত এগারোটার দিকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
ভিডিওতে বাবুনগরী বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের পরামর্শে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীতে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে সংগঠন পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
মাত্র ১ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন, ঈমানি-আকিদার সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
তিনি আরও বলেন, ইনশাআল্লাহ, আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আবার হেফাজতে ইসলামীর কার্যক্রম শুরু হবে।
২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালের কারণে নতুন এ কমিটি করেছিল হেফাজত। এরপর ১৩ ডিসেম্বর মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী মারা গেলে নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়েছিল হেফাজত।
কেএম/এইচকে