আবরারসহ বহু মেধাবীকে মেরে শিক্ষাঙ্গন কলুষিত করেছে ছাত্রলীগ
খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ শিক্ষাঙ্গনকে প্রতিনিয়ত নিজেদের ক্ষমতার লীলাভূমি বানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা আবরার ফাহাদের মতো বহু মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করে শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করেছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) গণ ইফতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বিজয় নগর বিজয়-৭১ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ অভিযোগ করেন এবি পার্টির নেতারা।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে নেতারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে যে ছাত্রলীগ নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিল সেই ছাত্রলীগের রাজনীতিকে এখন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘৃণা করা শুরু করেছে। যে সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতির কারণে আবরার ফাহাদের মতো মেধাবীদের নৃশংসভাবে খুন হতে হয় সেই পেশিশক্তির রাজনীতি জনগণ চায় না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবীব লিংকন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান ব্যাপারী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমেদ বারকাজ নাসির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসান হাবীব লিংকন বলেন, পত্রিকার পাতায় খুললেই দুঃসংবাদ চোখে পড়ে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ, সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণ, মানুষের বাড়ি দখল, জনগণের সম্পদ লুট, এগুলো করছে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের গুন্ডাপান্ডা। দেশের এই রকম দুঃসময়ে আমার বাংলাদেশ পার্টি নতুন রাজনীতি শুরু করেছে, আমি অভিভূত।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান বুয়েটে নিয়ে আবার নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ছাত্রলীগের জঙ্গিরা একবার আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের জঙ্গি গোষ্ঠীর অত্যাচারে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা অতিষ্ঠ ঠিক সেই সময়ে সেই গুন্ডাপান্ডারা আবার বুয়েটের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলেছে। যে রাজনীতি আমাদের দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে হত্যা করে, আমাদের বোনদের স্বামীর সামনে ধর্ষণ করে সেই রাজনীতি আমরা চাই না।
রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমে সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতন আর গুন্ডামি চলতে পারেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতির নামে আবরারের মতো আর কোনো মেধাবীর নৃশংস হত্যা দেশের জনগণ মেনে নেবে না। রমজান মাস অধিকার আদায়ের মাস, এবি পার্টি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনব।
সভাপতির বক্তব্যে মেজর মিনার বলেন, আমরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করছি। এই আপনারা যারা এখানে ইফতার করেন তাদের জন্য রাজনীতি করছি। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের পরিশ্রম তখনই সার্থক হবে যখন আপনারাও জেগে উঠবেন নিজের অধিকার বুঝে নিতে। আপনারা সবাই আমাদের হাতে হাত রেখে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিন, ইনশাআল্লাহ আমরা একটা সুন্দর, কল্যাণকর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
জেইউ/এমএ