উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলীয় সমর্থন দিতে চান সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলার নেতারা। আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় এমন প্রস্তাব করেছেন সংসদ সদস্য ও দলের তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তারপর শুরু হয় মতবিনিময় পর্ব। সেখানে গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীসহ রংপুর বিভাগের সব জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্যরা অংশ নেন।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

বৈঠক সূত্র মতে, রংপুর মহানগরের থানা কমিটিগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জটিলতা নিরসনে স্থানীয় নেতারা ব্যর্থ হয়েছেন। বৈঠক থেকে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের এ জটিলতা নিরসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন রংপুর মহানগরের থানা কমিটিগুলোর জটিলতা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিম সমাধান করবে বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

আরও জানা গেছে, নীলফামারী জেলার জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন সমস্যা চলে আসছে। সেই সমস্যা সমাধানের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও জেলার নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা উপজেলা কমিটি নিয়ে সব সমস্যা সমাধান করবেন।

সৈয়দপুরের উপজেলা কমিটির সঙ্গে পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে নানা জটিলতা চলছিল। সেটি সমাধানের দায়িত্বও জেলা কমিটির শীর্ষ নেতাদের দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের উপজেলা কমিটি নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব ছিল। সেটি নিরসন করা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দুই পক্ষকেই কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুজিত রায় নন্দী ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও প্রার্থীকে দলীয় সমর্থনের প্রস্তাবনা আছে। সময় বলে দেবে কখন প্রতীক বা সমর্থন দিতে হবে। উনাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসছে। সুজন ভাই (সাবেক রেলমন্ত্রী) ও আসাদুজ্জামান নূর ভাই প্রস্তাব করেছেন।

এমএসআই/এসএসএইচ